বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনলাইনে দলীয় প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার কারণে অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্কাইপে ডট কম বাংলাদেশে বন্ধ করে দিয়েছে ‘বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন’ (বিটিআরসি)।
রোববার (১৮ নভেম্বর) রাত থেকে দেশে সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরদের স্কাইপে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিটিআরসির একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশের একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সে কারণে স্কাইপি বন্ধ করা হয়েছে।
তবে ওই সূত্রগুলো নিজেদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিটিআরসির ওই নির্দেশনা পাওয়ার তারা স্কাইপে বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে স্কাইপের সব সেবা বন্ধ রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র স্কাইপে বন্ধ করা হলেও ভিডিও কনফারেন্স করার মতো অন্যান্য অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সূত্রঃ শীর্ষনিউজ
আরও পড়ুনঃ তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়ঃ নির্বাচন কমিশন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রেস বিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব, ‘তিনি (তারেক রহমান) দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। এটা আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। এতে ইসির কিছু করার নেই।’
উল্লেখ্য, দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেয়ার বিষয়টি আদালত অবমাননা বলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) লিখিত অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ দাবি করে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা আছে যে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কোনো প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। সুতরাং তারেকের এই কাজ সর্বোচ্চ আদালতে আদেশ লঙ্ঘন এবং আদালত অবমাননার সামিল।
তবে আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ইসি নিজেরাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। আমাদের দলের সাক্ষাৎকার কিভাবে নেব এটা আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’
উৎসঃ ব্রেকিংনিউজ
আরও পড়ুনঃ ভাল প্রার্থীদের জামিন দিচ্ছে না সরকার: ফখরুল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিএনপির ভাল প্রার্থীদের জামিন না দেয়ার নতুন কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসমাল আলমগীর।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে তারা। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই ইসির।’
এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও জানান।
এদিকে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলছে। সকাল ১০ থেকে এ সাক্ষাৎকার শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষৎকার গ্রহণ করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এছাড়া, মনোনয়ন বোর্ডে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সকাল ১০ টায় বরিশাল-১ আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। বরিশাল বিভাগের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে বিকালে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শুরু হবে। চলবে রাত পর্যন্ত।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বেলা আড়াইটা থেকে রাত পর্যন্ত কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদেও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে।
পরদিন বুধবার সকাল ৯ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুর এলাকা এবং বেলা আড়াইটা থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদেও সাক্ষাৎকার গ্রহণ হবে।
এদিকে সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র কওে সকাল থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদেও ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। যদিও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে তাদের অনুসারীদের নিয়ে আসতে দলীয় নিদের্শনা রয়েছে।
উৎসঃ ব্রেকিংনিউজ
আরও পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই: আমিনুল ইসলাম
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আবেদনে তিনি জামিনও চেয়েছেন। এতে করে নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
খালেদা জিয়ার এ মামলার প্যানেল আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আপিল করায় নিম্ন আদালতের রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে গেছে। এখন এ মামলার কারণে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই।’
এর আগ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আবেদনটি সাতশ পৃষ্ঠারও বেশি বলে জানান এই আইনজীবী।
গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর তিন আসামিকেও একই দণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এ মামলার অন্য তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তাঁদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক। বাকি দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত ওই তিনজনকেও অভিন্ন সাজা দিয়েছেন।
এ ছাড়া মামলার পলাতক আসামি হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে উপস্থিত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে যে ৪২ কাঠা জমির ক্রয় নিয়ে মামলার সূচনা, সেই জমিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিলেন আদালত। পরে গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এ মামলায় সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করেন।
উৎসঃ আরটিএনএন
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইইউ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার প্রত্যাশা
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মক উদ্বেগজনক। এক্ষেত্রে অনেক কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে এখানে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ক্রমাগত তত বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জাতীয় এ নির্বাচন স্বচ্ছ, সবার অংশগ্রহণমুলক ও পক্ষপাতহীন হবে বলে প্রত্যাশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করে যাচ্ছে ইইউ। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ১৫ই নভেম্বর ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্লিনারি সেশনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা পলিসি বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেডেরিক মঘেরিনির পক্ষে এসব কথা বলেছেন ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস। তিনি হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের কমিশনার।
ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও সমমনা অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে এ ইস্যুতে আলোচনা করে যাচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
সাম্প্রতিক বেশ কিছু বিবৃতিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় এর প্রয়োজন ছিল। ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, আমরা সাংবাদিক শহিদুল আলমের পরিস্থিতিতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ, সবার অংশগ্রহণমুলক ও পক্ষপাতিত্বহীন হবে বলে প্রত্যাশা করে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তভাবে শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করার অধিকারকে সমুন্নত রাখা ও সুরক্ষিত রাখা উচিত বাংলাদেশের। নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ ও উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত সরকারের। শ্রমিকদের অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সুপারিশগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা উচিত। বিশেষ করে শ্রমিকদের বিনা বাধায় সংগঠন গড়ে তোলার অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপিয় ইউনিয়নের যে উন্নয়ন সহযোগিতা রয়েছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মানবাধিকার। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ৪ কোটি ইউরোরও বেশি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা সহ গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়নকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মালিকানা নিশ্চিত করার দিকে ফোকাস করেছে বা দৃষ্টি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায় সম্পর্ক রয়েছে ইইউয়ের। শরণার্থী সঙ্কটের প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাসে আমাদের রাজনৈতিক সংলাপ তীব্র হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করি আমরা। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি এখনও রয়েছে অভিষ্ট লক্ষ্যে। তবে এই ফেরত যাওয়া হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, স্থিতিশীল ও মর্যাদার সঙ্গে। এটা তাদের মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে জড়িত করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে, রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়া নিরাপদ ও স্থিতিশীল হবে।
ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের মূল যে সংলাপ তাতে অগ্রাধিকারে রয়েছে মানবাধিকার। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নিয়মিতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ইইউ। এক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। তা হলো, বাংলাদেশ সরকার এ ইস্যুতে ইইউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এপ্রিলে সাব গ্রুপ অন গুড গভর্নেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এবং জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ডিপ্লোম্যাটিক কনসালটেশনস-এ গৃহীত যৌথ প্রেস রিলিজে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রে ঘাটতির বিষয়গুলো দেখবে এবং এসব ইস্যুর প্রতি সম্মান দেখিয়ে পলিসি নেবে।
উৎসঃ mzamin
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনকে একেবারে গিলে ফেলেছে সরকার: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের বেপরোয়া আচরণ ও হয়রানিতে আবারো ‘ফেনী মার্কা’ নির্বাচনের আলামত পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেফতার পাহাড়ি ঢলের মতো ধেয়ে চলেছে দেশব্যাপী।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, গতকালও ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ, ফেনী, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে বিনা মামলায়, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার জন্য তালিকা তৈরি করছে।
‘স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে কারা কারা সরকার দলের সমর্থক, কারা বিরোধীদলের সমর্থক তাদের তালিকা করছে তারা। এমনকি বিরোধীমতের সমর্থক হলে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে মোবাইলেও তাদের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের প্রকাশ্য ও গোপন হুমকিতে এ নিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।’
রিজভী বলেন, আইন, আদালত ও প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করার পরে কব্জার মধ্যে থাকা নির্বাচন কমিশনকে একেবারে গিলে ফেলেছে সরকার। এখন নোংরাভাবে ইসিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ ইসির কতিপয় কর্মকর্তা সেই সুযোগ করে দিয়েছে।’