বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশকে হেয় করায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার।
বিশ্বকাপের ধারাভাষ্যকারের ২৪ জনের তালিকায় থাকা ভারতীয় সাবেক এই ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।
মঙ্গলবার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এদিন ধারাভাষ্যে বাংলাদেশের চেয়ে বিরাট কোহলি-মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং লোকেশ রাহুলকে নিয়ে বেশি গলা ফাটান মাঞ্জেরেকার।
শুধু তাই নয়, সেদিন নিজেকে টুইটারেও বাংলাদেশ দলকে তাচ্ছিল্যই করে স্ট্যাটাস দেন ভারতের সাবেক এই আনকোড়া ক্রিকেটার।
নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে মাঞ্জেরেকার বলেন, ‘কেন বিরাট কোহলি এখনো সময় নিচ্ছেন ইনিংস ঘোষণা করতে?’
মাঞ্জেরেকারের এমন টুইটের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ টাইগার সমর্থকরা আইসিসির উদ্দেশে করা টুইটে বিশ্বকাপের ধারাভাষ্যের তালিকা থেকে মাঞ্জরেকারকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ ফজরের নামাজ থেকে জামায়াতের সাবেক নেতা ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্মকর্তাকে অপহরণ
নাটোরের বড়াইগ্রামের চান্দাইয়ে নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে আবদুল হান্নান বাদশা (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবারের লোকজন।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে সাহরির পর ফজরের নামাজ আদায়ের সময় মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
আবদুল হান্নান বাদশা রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাবেক নেতা ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল লক্ষীপুর শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
তিনি বড়াইগ্রামের চান্দাই গ্রামের বাসিন্দা ও নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে একাধিকবার জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল হাইয়ের বড় ছেলে।
আবদুল হান্নান বাদশার স্ত্রী খাদিজাতুল কোবরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে দুদিনের ছুটিতে তারা রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। বুধবার সাহরির পর দুইটি মোটরসাইকেলে আসা ৫-৬ জন সাদা পোশাকধারী লোক পেছনের দরজা দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় আবদুল হান্নান ফজরের নামাজ পড়ছিলেন। পরে তারা ঘরের ভেতর ঢুকে তিনি ও তার স্বামীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বাদশাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বাদশার সন্ধান দাবিতে বড়াইগ্রাম থানায় গেছেন তার পরিবার। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, লোকমুখে ঘটনা শুনেছি। তবে পরিবার অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করলেন সেই ওসি মোয়াজ্জেম
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর মামলায় আসামি ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন।
আইনজীবী সালমা সুলতানার মাধ্যমে করা ওই আগাম জামিনের আবেদন বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে। নিয়ম অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরেও ওই আবেদনের অনুলিপি পাঠানো হয়। কিন্তু বিষয়টি যেহেতু এখনও শুনানি জন্য আসেনি, সেহেতু বুধবার হাইকোর্টে হাজির হননি পুলিশ পরিদর্শক মোয়াজ্জেম।
জানা গেছে, বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য আসতে পারে।
গত মার্চ মাসে নুসরাত তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করার পর তার তদন্তে তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম সোনাগাজী থানায় ডেকে নিয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর জবানবন্দি নিয়েছিলেন। তার কয়েক দিনের মাথায় নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে তা নিয়ে সারাদেশে আলোচনার মধ্যে ওই জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের মৃত্যুর পর গত ১৫ এপ্রিল ওই ভিডিও ছড়ানোর জন্য ওসি মোয়াজ্জেমকে আসামি করে ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন ওই অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
এর ধারাবাহিকতায় পিবিআই যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়, সেখানে ওসি মোয়াজ্জেমের নিজের মোবাইল ফোনে জবানবন্দি রেকর্ড করার এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়। পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন সোমবার মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে যুবলীগ নেতা জুয়েল অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ!
গাজীপুরে যুবলীগ নেতা জুয়েল মণ্ডল অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিভিন্ন স্থানে স্থানীয়রা মিষ্টি বিতরণ করেছে।
এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন বাড়ির মালিকরা হয়রানির হাত থেকে নিস্তার পেয়েছেন।
বুধবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালত জুয়েল মন্ডলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। সে মেট্টোপলিটন গাছা থানা যুবগলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
বুধবার সকালে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নগরীর ৩৭নং ওয়ার্ডের চান্দরা এলাকার মৃত আবদুল হাই চেয়ারম্যানের ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। যুবলীগ পরিচয়ে স্থানীয় এমপি, মন্ত্রী, পুলিশের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছে।
গাছা, চান্দরা, কুনিয়া পাছরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষের আতঙ্ক ছিল জুয়েল মণ্ডল। বিশেষ করে যারা বাইরের জেলা থেকে ওই সব এলাকায় বাড়ির ঘর নির্মাণ করত তাদের ওপর অত্যাচারের মাত্রাটা ছিল বেশি। ঘরবাড়ি নির্মাণ, ময়লা, সিমেন্ট, ওয়ার্কসপের কাজ চড়া দামে তার কাছ থেকে না নিলে বাড়ি ঘর বেদখল হয়ে যেত। এমনকি বাড়িতে সাম্বারসিবল পাম্প বসাতে গেলেও তাকে চাঁদা দিতে হতো।
এলাকার অসহায় লোকদের ধরে এনে মারধোর করা, মাদক বিক্রি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মেও তার হাত রয়েছে। নানা অপকর্মে জুয়েল মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮-১০টি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতো না। কিন্তু গত সোমবার ৫ রাউন্ড গুলি ও দুটি বিদেশি পিস্তলসহ তার বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব-১ এর সদস্যরা। তার এ গ্রেফতারের খবরে স্থানীয়রা মিষ্টি বিতরণ করেছে।
র্যাব জানিয়েছে, জুয়েল মণ্ডলের নামে জমি দখল, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির নানা অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন থানায় প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জুয়েল মণ্ডলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
অপরদিকে জুয়েল মণ্ডলের শ্বশুর ফজলুল হক চৌধুরী দাবি করেন জুয়েল মণ্ডল এসব কাজের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাছা থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানান, জুয়েল মণ্ডলকে মঙ্গলবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে বুধবার এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ শহীদ জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভীক নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার এক বাণীতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার অম্লান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং দেশীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার জীবিতকালে জাতির চরম দুঃসময়গুলোতে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, স্বাধীনতাযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা এবং রাষ্ট্র গঠনে তার অনন্য কৃতিত্বের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, ’৭১ সালে সারা জাতি যখন স্বাধীনতাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, অথচ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ দিশাহারা, ঠিক সেই মুহূর্তে ২৬ মার্চ মেজর জিয়ার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের অভয়মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। এরই ফলশ্রুতিতে দেশের তরুণ, ছাত্র, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মির্জা ফখরুল বলেন, পরবর্তীতে স্বাধীনতাত্তোর শাসকগোষ্ঠী দেশে একদলীয় একনায়কতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেন। সেই সময় দেশের সর্বত্র ভয়াবহ নৈরাজ্য নেমে আসে। ঠিক সেই সময় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা।
তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন। তার অর্থনৈতিক সংস্কারের কারনেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হয়।
তিনি বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনই মেনে নিতে পারেনি। আর তাই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
সে জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ যেন গণতন্ত্রকেই কারাগারে আটকিয়ে রাখা।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ ছাত্রলীগের কার্যক্রম জঙ্গিদের মতো : ভিপি নুর
সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে জঙ্গিদের কার্যক্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার ওপর হামলার উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করেন তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে নুর এসব কথা বলেন। বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর ধারাবাহিক হামলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
নুর বলেন, ‘তাদের (ছাত্রলীগ) যে কার্যক্রম এটা আমাদের কাছে সাম্প্রতিকালে জঙ্গিদের কার্যক্রম সাদৃশ্য মনে হচ্ছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা ও নিজের ওপর হামলার বিচার চেয়েছেন ভিপি নুর। তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন থাকলে প্রধানমন্ত্রী এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে দেখাবেন।’
ছাত্রলীগের এমন কার্যক্রম জনগণ প্রতিহত করবে জানিয়ে ডাকসুর ভিপি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে থাকলে এক সময় জনগণ তা প্রতিহত করবে।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার বিকেল ৫টার দিকে বগুড়া উডবার্ণ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনের সামনে ভিপি নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
এর আগের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গেলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিপি নুরকে বাধা দেয়।
উৎসঃ আমাদের সময়
আরও পড়ুনঃ দেশে আইনের শাসন না থাকায় এতো ভোগান্তি : ড. মিজানুর রহমান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন,দেশে আইনের শাসন অনুপস্থিত বলেই পদে পদে ভোগান্তি হচ্ছে।
বুধবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ‘ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ: আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চেšধুরী।
তিনি আরো বলেন,যেভাবে প্রতিদিন বন্দুক যুদ্ধ চলছে সেখানে আদালতের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জবাবদিহিতার জায়গায় আমরা একটা দুর্বল অবস্থানে আছি। এখানে জবাবদিহিতা একদম নেই। কারণ আইনের শাসন একদম প্রতিষ্টা করতে পারিনি। তিনি বলেন, নূন্যতম আইনের শাসন না নিশ্চিত করা গেলে নাগরিকদের নিরাপত্তা থাকে না।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, বিআরটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান,গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্ময়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা যানবাহন সমন্ময় কর্তৃপক্ষের সিনিয়র আর্বান প্লানার তপন কুমার নাথ।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
আরও পড়ুনঃ জাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে টেন্ডার সিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞপ্তির টেন্ডার সিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছে একটি গৃহনির্মাণ কোম্পানি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে এমন অভিযোগ করে ইউনাইটেড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।
‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রথম ধাপের ছয়টি হল নির্মাণের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ১৫ মে শিডিউর বেচা শুরু হয়। টেন্ডার ওপেন হবে বুধবার।
ইউনাইটেড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি রোববার উপাচার্যের বরাবর এক অভিযোগপত্র প্রেরণ করে। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়- ২৩ মে প্রি-টেন্ডার সভায় অংশগ্রহণের পরে সিডিউল কিনে ফেরার পথে ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে ২০-৩০ জন যুবক তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক সিডিউল ছিনিয়ে নেয়। ফলে তাদের পক্ষে দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দরপত্র বাতিল করে পুনরায় দরপত্র (ইজিবি) আহ্বান করার অনুরোধ জানানো হয় ওই পত্রে।
অভিযোগের ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা যুগান্তরকে বলেন, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ছাত্রলীগ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
উপাচার্য অসুস্থ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক জানিয়েছেন, তারা এমন কোনো অভিযোগপত্র হাতে পাননি।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ আওয়ামী লীগে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে অনেকেই হতাশায় ভুগছেনঃ রুহুল কবির রিজভী
মন্ত্রিত্ব হারিয়ে সরকার দলের অনেকেই হতাশায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমসহ অনেক নেতার কথাবার্তায় মনে হয় তারা নিজেদের পদ খুইয়ে হতাশায় ভুগছেন। শুধুই বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। আমার মনে হয় তারা মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বিএনপির কনসালট্যান্ট হতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার দলের নেতাকর্মীরা সারা দেশে লুটপাট, খুন-ধর্ষণ, খাদ্যে ভেজাল ও মাদক ব্যবসায়ে লিপ্ত। এমনকি তাদের কিছু জনপ্রতিনিধিও আছেন যারা মাদকসম্রাট হিসেবে পরিচিত।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গোটা দেশে সরকার দলের নেতাকর্মীদের বেপরোয়া অপকর্মে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। তা নিয়ে নাসিম সাহেবদের মাথা ব্যথা নেই। এখন বিএনপি তাদের ধ্যান-জ্ঞান।
রিজভী আরও বলেন, মন্ত্রিত্ব হারিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তুষ্ট করার জন্য কথাবার্তায় অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন। বিএনপির কী নিয়ে আন্দোলন করা উচিত সেই উপদেশও দিচ্ছেন তারা।
‘আপনার নেত্রীকে বলুন যেহেতু অনেক দিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগে ভেজাল ঢুকে গেছে, তাই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দল শুদ্ধ করুন। জনগণকে স্বৈরশাসনের ভারী পাথর থেকে দয়া করে পরিত্রাণ দিন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভোট ডাকাতির অন্যতম কারিগর নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে রোববার পুরস্কৃত করেছে মিডনাইট সরকার। তাকে পদায়ন করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
‘আর নির্বাচন কমিশনের সচিব করা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেনকে। যিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুগত ও বিশ্বস্ত হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি অর্জন করেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী দলদাস’ সরকারি কর্মকর্তা ও ভোটারশূন্য একতরফা নির্বাচনী সংস্কৃতির হোতা নির্বাচন সচিবকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলি করার ফলে দেশের স্থানীয় সরকারগুলোতে আওয়ামীকরণের ষোলকলা পূর্ণ হবে। এখন স্থানীয় সরকারগুলোতে নির্বাচনের বদলে সিলেকশনের পথ আরও সহজ হবে।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ এবার ফাঁস হলো বালিশ কাণ্ডের হোতা মাসুদুলের ভাইয়ের নানা অপরাধ

সম্প্রতি দেশব্যাপী সমালোচিত ও নিন্দিত যে নামটি – গণপূর্ত অধিদফতরের পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম।
চলতি মাসে একটি জাতীয় দৈনিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আবাসন পল্লিতে আসবাবপত্র কেনাসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের আলোচনায় চলে আসেন তিনি।
এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল বালিশ কাণ্ডের হোতা এই মাসুদুল আলমের ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসী মাহমুদুল আলম সোহেলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগটি এসেছে মাহমুদুল আলম সোহেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের পক্ষ থেকে।
তার অভিযোগ, বিভিন্ন সময় মাহমুদুল আলম তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। আর ছোট ভাইকে এ কাজ করতে ইন্ধন জুগিয়েছেন প্রকৌশলী মাসুদ আলম।
এ বিষয়ে ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল থানায় মামলা করেছেন বলে জানান সেলিনা আক্তার।
এছাড়াও মাহমুদুল আলম সোহেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক বিয়ে ও অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ আনেন স্ত্রী সেলিনা।
এক গণমাধ্যমকে সেলিনা আক্তার বলেন, ‘প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের পরিবার নারী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। ওই পরিবারের এমন অপকর্মের বিচার চাওয়ায় মাসুদ আলম আমার ভাইকে হুমকি দিয়েছিল। এ নিয়ে আমার ভাই মো. হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল থানায় ওই পরিবারকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা করেন।’
সেই মামলার তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকার সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয় প্রকৌশলী মাসুদুলের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছোট ভাই মাহমুদুল আলম সোহেলের সঙ্গে।
বিয়ের পর সেলিনা জানতে পারেন যে, এর আগেও সোহেল দুটি বিয়ে করেছিলেন যে বিষয় তাদের কাছে লুকানো হয়েছিল।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক মেয়ের সঙ্গে সোহেলের অবৈধ মেলামেশা হাতেনাতে ধরা পড়ে।আর প্রতিবারই স্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নেন সোহেল।
সেলিনা জানান, ২০১৮ সালে শ্বশুরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বামীসহ থেকে দেশে আসেন সেলিনা। দেশে আসার পরেও সোহেলের একই চরিত্র দেখতে পান সেলিনা।
সোহেলের এমন কাণ্ডে সেলিনা প্রতিবাদ করলে মাসুদুল আলমের পরিবারের সবাই তাকে মারধর করেন। এ সময় সোহেল সেলিনার গায়ে পেপার স্প্রে মারলে তার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
ওই ঘটনার পর স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ-বৈঠক করে বিষয়টি মিটমাট করেন এবং সংসার রক্ষার স্বার্থে সেলিনা তা মেনে নেন। এরপর সোহেলের সঙ্গে সেলিনা আবার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
কিন্তু এতো কিছুর পরও শোধরাইয়নি সোহেল। সেখানে গিয়েও একই অপকর্মে লিপ্ত হন সোহেল। সেলিনা আবার প্রতিবাদ করলে সোহেল ফের তাকে মারধর করেন।
এরপর সোহেল থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন সেলিনা। দেশে পরিবারকে ঘটনার কথা জানালে সেলিনার ভাই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে টাঙ্গাইলে প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের মা, বাবা এবং ছোট ভাইকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলা প্রসঙ্গে সেলিনার ভাই মো. হুমায়ুন কবির জানান,‘প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিজেদের পক্ষে নিয়েছেন মাসুদুল আলম। ওই পরিবারের সবার নামের বিরুদ্ধে মামলা করলেও শুধু সোহেলের নাম রেখে বাকিদের নাম বাদ দিয়েছে তদন্তকারীরা।’
এছাড়াও মামলা তুলে নিতে কয়েকবার প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন হুমায়ুন।
হুমায়ুনের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফ উদ্দিন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তদন্তে শুধু মাহমুদুল আলম সোহেলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। পরিবারের অন্যদের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় নাম বাদ দেয়া হয়েছে।’
এ মামলায় মাহমুদুল আলম সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে জানান এসআই আশরাফ উদ্দিন।
জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন আসামি মাহমুদুল আলম সোহেল। অথচ এখনও সোহেলকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও এখনও কেন সোহেলকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত যে কোনো আসামিকে পুলিশ তন্ন তন্ন করে খোঁজে। মামলাটি ২০১৮ সালের, তখন আমি এ থানায় ছিলাম না। তাই বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’
অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট থাকলে আসামিকে নিশ্চিত আসামিকে খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসামি এ এলাকায় আছে কিনা, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে’।
এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে শুধু শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগই নয় স্বামীর বড় ভাই প্রকৌশলী মাসুদ আলমের বিরুদ্ধেও অবৈধ অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছেন সেলিনা আক্তার।
তিনি অভিযোগ করেন, মাসুদ আলম ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১২ হাজার ডলার পাচার করে করেছেন। চরিত্রহীন ছোট ভাইকে প্রথম স্ত্রীর মামলা থেকে বাঁচাতে অবৈধ পথে এ টাকা পাঠান তিনি।
এছাড়াও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বোন ও নিকটাত্মীয়দের নামে মাসুদুল আলমের বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখেন মাসুদুল আলমের। ঢাকার খিলগাঁওয়ে কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বসুন্ধরায়ও স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট আছে তার।
প্রসঙ্গত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আবাসন পল্লিতে আসবাবপত্র কেনাসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদনে প্রকাশ হয় যে, ওই প্রকল্পে এক হাজার ৩২০টি বালিশ কেনা হয়ে। এদের প্রতিটির মূল্য দেখানো হয়ে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর সেই প্রতিটি বালিশ নিচ থেকে ভবনের ওপরে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা!
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, শুধু বালিশের বিষয়েই নয় প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে তোলার ব্যয়েও পুকুর চুরি করার মতো বিল করা হয়।
সেখানে ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য কেনা টিভি, ফ্রিজ ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভের ক্রয়মূল্য ও সেগুলোকে ফ্ল্যাটে তুলতে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে তা রীতিমতো অস্বাভাবিক।
আর এসব দুর্নীতির মূল হোতা ছিলেন গণপূর্ত অধিদফতরের পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম।
উৎসঃ যুগান্তর
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় নুরের ওপর হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাদের যারা নেতৃত্বে ছিল

বগুড়ায় ভিপি নুর সহ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতাদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ও হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের নাম ঘোষণা করে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। তবে হামলার বিষয়ে শিবিরের উপর দোষ চাপাচ্ছেন জেলা ছাত্রলীগ।
হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের প্রকাশিত তালিকায় রয়েছেন— জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান, প্রচার সম্পাদক মো. মুকুল ইসলাম এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ।
হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোববার বিকালে ভিপি নুর সহ অন্যান্যরা উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে অবস্থান করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাবলিক লাইব্রেরির মূল ফটক দিয়ে ঢুকে অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. মুকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ দাঁড়িয়ে থাকা ভিপি নুর সহ অন্যদের মারধর করতে শুরু করে। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস পাশে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও মারধরে অংশগ্রহণ করে। মারধরের একপর্যায়ে গুরুতর আহত ভিপি নুর মাটিতে লুটে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হাসান, রাতুল, মশিউর সহ আরও কয়েজন আহত হন।
সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বগুড়ায় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।’ হামলায় জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের আওতায় আনার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। একইসঙ্গে দোষীদের বিচার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেয়া হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপির উপর হামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত যত হামলা হয়েছে, তার কোনো বিচার হয়নি। বগুড়ায়ও ফের এমন হামলার ঘটনা ঘটলো।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নিকট আহবান জানাচ্ছি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করার। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদের চিহ্নিত করে বিচার করা না হলে ছাত্র সমাজকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘একের পর এক হামলা হলেও বিচার হচ্ছে। ৩০জুন নুরের উপর হামলারে পর লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো বিচার হয়নি। আরও অনেক হামলার লিখিত দেওয়া হলেও কোন বিচার আমরা পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়ায় তারা হামলা করেই যাচ্ছে। বগুড়ায়ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। রোজার মাসেও সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। নুর, ফারুকসহ সবাইকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ভিপির উপর আঘাত করা মানে ঢাবির উপর আঘাত করা। এদের বিচার না হলে ছাত্রসমাজ চুপ করে বসে থাকবে না।’
এদিকে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ভিপি নুরের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, উডবার্ণ পাবলিক গ্রন্থাগারের পাশের অপর একটি অডিটোরিয়ামে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে যায়। এসময় হট্টগোলের আওয়াজ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি ভিপি নুর শিবিরের ইফতার মাহফিলে যোগ দিচ্ছেন।
তিতাস আরো বলেন, আমরা নুরকে শিবিরের সাথে ইফতার করার কারণ জিজ্ঞেস করলে নুর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় তাদের সাথে আমার কর্মীদের সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে। তাদের উপর হামলার খবরটি ভুয়া বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, বগুড়ার মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী কোন চক্রের স্থান হবে না। শিবিরের সাথে ইফতার মাহফিল করার কোন প্রমাণ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন ছবি আমাদের কাছে নেই। এছাড়া বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের ফটোগ্রাফারকে মারধরের অভিযোগের বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন তিনি।